হিমালয়ের সাধনা এবং মানবিকতার জাগরণ
সমস্ত পুণ্যবান আত্মাকে আমার নমস্কার। আজ এই অধ্যায়ে ১৭,০০০ এরও বেশি নতুন সাধক-সাধিকা যোগ দিয়েছেন। আমি সকলকে সমর্পণ ধ্যান সংস্কারের জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করব। আজকের অনুষ্ঠানটি সেই নতুন সমর্পণ ধ্যান সাধকদের জন্যই উৎসর্গীকৃত।
যদি মানব সমাজের অধ্যয়ন করা হয়, তাহলে দেখা যাবে যে হাজার বছর ধরে এটি ধীরে ধীরে এক ধরণের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। প্রথমে মানুষরা একটি গোষ্ঠী হিসাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়াত এবং জীবজন্তুদের চরাতে চরাতে। পরে ছোট ছোট গ্রামে বসবাস করতে থাকে। ধীরে ধীরে মানব সভ্যতার বিকাশ ঘটে এবং পৃথিবীর সমস্ত অঞ্চল একই জায়গায় ছিল হাজার বছর আগে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন দেশে বিভক্ত হয়ে যায়। এভাবেই একটি ভাগ হিসাবে ভারত হিমালয়ের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।
প্রাচীনকালে উপাসনার একটি পদ্ধতি ছিল যা এখনও বিভিন্ন দেশে বিভক্ত হয়ে থাকলেও একই রকম আছে। কিছু দূরত্বের কারণে কিছুটা পরিবর্তন হলেও সেই উপাসনার পদ্ধতিটি আজও একই রকম আছে। আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ানরা এখনও সেই পদ্ধতিতেই ধ্যান করে এবং প্রকৃতির সাথে যুক্ত থাকে ও পঞ্চভূতকে পরমাত্মা মনে করে। ইংল্যান্ডের ড্রুইডরাও সেই পদ্ধতিতেই উপাসনা করে।
আর্য সভ্যতাও এই একই পদ্ধতিতে উপাসনা করত। নিউজিল্যান্ডের মাওরী জাতিও পঞ্চভূতকেই পরমাত্মা মনে করে এবং সেই পদ্ধতিতেই ধ্যান করে। একসময় সমগ্র বিশ্বে উপাসনার একই পদ্ধতি ছিল। সেটি হল পঞ্চভূতকে পরমাত্মা মনে করা এবং তাদেরই উপাসনা করা।
এই দেশগুলি আলাদা হয়ে গেলেও ওই উপাসনার পদ্ধতিতে কোনও পরিবর্তন আসেনি। ছোট গ্রামের কিছু লোক প্রকৃতির নিকটবর্তী হয়ে পাহাড় ও জঙ্গলে বসবাস করতে থাকে। পাহাড়ের উপরেই থেকে তারা পাহাড়ের সাথে একাত্ম হয়ে যায়। এরপর তাদের শরীর সম্পূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়ে যায় এবং তাদের অন্তরে প্রকৃতির সাক্ষাৎ অনুভূতি হয়। পরমাত্মার শক্তি তাদের অন্তর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। তারা এই অনুভূতি বা অনুভব সমাজে আনতে পারেনি।
কিছু মহাপুরুষ এই অনুভূতি লাভ করতে ও পরমাত্মা কী এবং তাঁর শক্তি কী তা সমাজকে বোঝাতে জঙ্গলে গিয়েছিলেন। তাদের অনুভূতি ও প্রাপ্ত জ্ঞান নিয়ে তারা সমাজে এসেছেন এবং লোকদের ধ্যানের শিক্ষা দিতে শুরু করেছেন। এই ধ্যান ও অনুভূতিগুলি সময়ের সাথে সাথে একটি উপাসনা পদ্ধতির রূপ নিয়েছে।
যত উপাসনা পদ্ধতিই থাকুক না কেন, সবগুলোরই একটাই লক্ষ্য ছিল – মানব সমাজকে উন্নত করা। সবাই এই লক্ষ্যেরই প্রচেষ্টা চালিয়েছে যে মানুষের মধ্যে মানবিকতা জাগ্রত হোক এবং তাকে জ্ঞান লাভ হোক।
কিন্তু আজ সেই উপাসনা পদ্ধতিগুলোই মানবিকতাকে বিভক্ত করছে, যার লক্ষ্য ছিল এক করা। এসব বাইরের উপদেশ কারও কিছু গ্রহণ করতে পারে আবার কেউ নাও করতে পারে। তাই কোনও উপাসনা পদ্ধতিতেই সকল লোক ভাল নেই। প্রতিটি পদ্ধতিতেই কিছু ভাল আবার কিছু খারাপ লোক থাকবে। পদ্ধতিটি খারাপ নয়, কিছু লোক তা গ্রহণ করছে আবার
কিছু লোক তা গ্রহণ করছে না। এই সমস্যাটি ৮০ বছর আগেই হিমালয়ের ঋষি, মুনি ও সিদ্ধ মহাত্মারা অনুভব করেছিলেন।
সমস্ত উপাসনা পদ্ধতিগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষের অন্তরে পরিবর্তন আনা, যা হচ্ছিল না। তাই তারা এমন একটি পথ খুঁজছিলেন যার মাধ্যমে প্রত্যেক মানুষের অন্তরের মানবিকতা জাগ্রত হতে পারবে। ঠিক সেই সময়েই মহারাষ্ট্রের সন্ত ঞ্জানেশ্বরও সমাজে এসে তাঁর অনুভূতি ও ধ্যানের বিষয়ে বলতে শুরু করেন এবং মানুষকে জাগ্রত করার চেষ্টা করেন। তিনি একটি বিশ্বধর্মের কথা বলেন যেখানে সকল মানুষই সমান। প্রত্যেক মানুষের অন্তরেই কুণ্ডলিনী শক্তি বিদ্যমান থাকে, যা সুপ্ত অবস্থায় থাকে। এটি জাগ্রত হলে মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্য, আর্থিক অবস্থা ও পরিবেশ ভাল হয়। এ বিষয়ে গীতার ষষ্ঠ অধ্যায়ে উল্লেখ আছে। কিন্তু সেসময় লোকেরা এটা বুঝতে পারেনি।
তাই সন্ত ঞ্জানেশ্বরজী তাঁর গুরুদেবকে বলেন যে তিনি মানুষকে জাগ্রত করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু যদি লোকেরা এর অনুভূতি না পায় তবে তারা কীভাবে বুঝবে? তাঁর গুরুদেব বলেন, এখন অনুভূতির সময় নয়, পরে সেই সময় আসবে।
প্রায় ৮০ বছর পরে হিমালয়ের গুরু ও সিদ্ধেরা একটি অনুভূতি আবিষ্কার করেন যা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। এর মাধ্যমেই মানুষের অন্তরের মানবিকতা জাগ্রত করা সম্ভব হবে। তাঁরা এজন্য একজন সাধারণ মানুষকে বেছে নেন এবং তাকে এই অনুভূতি করান। পরে তাকে সমাজে পাঠিয়ে দেন যাতে অন্যরাও এই অনুভূতি লাভ করতে পারে।
আমিও একজন সাধারণ গৃহস্থ, পরিবার আছে, আমাকেই এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাতে মনে না করা হয় যে শুধু সন্ন্যাসীরাই এটা পারবেন। আরও একটি কারণ হল হিমালয়ে কোনও নারী ছিলেন না। যারা সেখানে গিয়েছিলেন তারা এই ধারণা নিয়েই গিয়েছিলেন যে নারীরা অধ্যাত্মিক প্রগতির পথে বাধা। তাই সেখানে কোনও নারীর প্রবেশ ছিল না।
কিন্তু আমার গুরুদেবরা উচ্চতর অধ্যয়নের পর বুঝতে পারলেন যে নারী-পুরুষ শুধু শারীরিক পার্থক্য মাত্র, মনের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। নারীরাও পুরুষদের মতোই অধ্যাত্মিক প্রগতি করতে পারেন। তাই এই ধারণাটিও ভাঙার জন্য আমাকে মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই কারণেই এই সংগঠনের প্রতিটি কেন্দ্র ও আশ্রমে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
আমার কাজ হল কেবলমাত্র এই অনুভূতিটি আপনাদের কাছে পরিবেশন করা। এটি আসলে আমার নিজের তৈরী নয়, ঋষি-মুনি ও সন্তদের অনুভূতি ও জ্ঞানের সমন্বয়। তাই যদি এটা আপনাদের ভাল লাগে তাহলে আমাকে নয়, ওই সন্ত-মহাত্মাদের ধন্যবাদ জানাবেন।
আর একটি বিষয়, এটা বইয়ের জ্ঞান নয়, অনুভূতির জ্ঞান। বইয়ে শুধু তথ্য ও জানকারী থাকে, যা অতীতের ঘটনা। অনুভূতি সর্বদা বর্তমানে থাকে। তাই বইয়ের পাঠ নয়, এটি অনুভূতির জ্ঞান গ্রহণ করতে হবে। তারপর আপনার নিজের উপাসনা পদ্ধতি বুঝতে হবে এবং তার চেতনা অনুভব করতে হবে। তাহলেই আপনি সেই ধ্যানের অর্থ বুঝতে পারবেন।
যেমন একজন মুসলমান যদি পড়াশোনা না করে থাকেন তাহলে তিনি পুরাণগুলো পড়ত
যেমন একজন মুসলমান যদি পড়াশোনা না করে থাকেন তাহলে তিনি পুরাণগুলোর অর্থ বুঝতে পারবেন না, শুধু সম্মান করতে পারবেন। অনুরূপভাবে, যদি কেউ ক্রিশ্চান হয়ে পড়াশোনা না করে থাকেন, তাহলে তিনি বাইবেলের অর্থ বুঝতে পারবেন না, শুধু সম্মান করতে পারবেন।
আবার যদি কেউ হিন্দু হয়ে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে তিনি গীতার অর্থ বুঝতে পারবেন। কিন্তু যদি তিনি পড়াশোনা না করে থাকেন, তাহলে তিনি গীতাকে শুধু সম্মান করতে পারবেন, অর্থ বুঝতে পারবেন না।
সুতরাং আপনার নিজের উপাসনা পদ্ধতি বুঝতে হলে এই অনুভূতির জ্ঞান গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। নাহলে এই পুস্তকে লিখিত বিষয়গুলোর অর্থ আপনি ভুল বুঝতে পারেন। কারণ লেখক তার অনুভূতি ও আত্মিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে লিখে থাকেন। কিন্তু পাঠক একটু নিচু স্তরে থাকেন। এই দুই স্তরের মধ্যে ব্যবধান থাকায় লেখকের লেখা এবং পাঠকের বোঝার মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে।
সুতরাং প্রথমে এই অনুভূতির জ্ঞান গ্রহণ করুন। তারপর আপনার নিজের উপাসনা পদ্ধতি বুঝুন এবং তার চেতনা অনুভব করুন। তাহলেই আপনি সেই ধ্যানের সত্যিকার অর্থ বুঝতে পারবেন।
English Language
My salutations to all the pious souls. Today more than 17,000 new saints have joined the chapter. I will try to give everyone the knowledge of surrender meditation reform. Today’s program is dedicated to those new surrendered meditation seekers.
If human society is studied, it will be seen that it has undergone a gradual change over thousands of years. At first people moved from one place to another as a group and grazed the animals. Later started living in small villages. Gradually human civilization developed and all regions of the world were in the same place thousands of years ago. Later it was divided into different countries. This is how India is connected to the Himalayas as a division.
In ancient times there was a system of worship which is still the same even though it is divided in different countries. The method of worship remains the same even today, though it has changed slightly due to some distance. The Red Indians of America still meditate in the same way and are connected to nature and consider the Panchabhutas as Paramatma. The Druids of England worshiped in the same manner.
Aryan civilization also worshiped in this same manner. The Maori people of New Zealand also consider the Panchabhuta as the Supreme Soul and meditate in the same way. Once upon a time the entire world had the same system of worship. That is to consider the Panchabhutas as Paramatma and to worship them.
Even though these countries were separated, there was no change in the way of worship. Some people from small villages live in the mountains and forests to get closer to nature. From the top of the mountain they merge with the mountain. Then their bodies are completely finished and their hearts feel the encounter with nature. The power of God began to flow through their hearts. They could not bring this feeling or feeling to the society.
Some Mahapurusha went to the jungles to get this feeling and to explain to the society what is Paramatma and what is His power. With their feelings and acquired knowledge they came to society and started teaching meditation to people. These meditations and feelings have over time developed into a form of worship.
No matter how many forms of worship there were, they all had one goal – to improve human society. All strive for the same goal to awaken the humanity in man and bring him enlightenment.
But today it is those forms of worship that are dividing humanity, which were meant to unite. Some may accept some of these outside advices and some may not. So not all people are good at any form of worship. In every system there will be some good people and some bad people. The method is not bad, some people are adopting it again
Some people are not accepting it. This problem was felt by Himalayan Rishis, Munis and Siddha Mahatmas 80 years ago.
The main purpose of all worship systems was to bring about change in the hearts of people, which was not happening. So they were looking for a way through which the humanity in every human being could be awakened. It was at that time that Saint Njaneswara from Maharashtra also came to the society and started talking about his feelings and meditations and tried to awaken people. He speaks of a universal religion where all men are equal. Kundalini energy exists within every human being, which lies dormant. When it is awakened, the physical health, financial condition and environment of the people are good. This is mentioned in the sixth chapter of the Gita. But people did not understand it at that time.
So Sant Njaneswarji tells his Gurudev that he has tried to awaken people but if people don’t feel it, how will they understand? His Gurudev said, now is not the time for feelings, that time will come later.
After about 80 years the Himalayan gurus and siddhas discovered a feeling that was accessible to the common man. Through this it will be possible to awaken the humanity of the human heart. They choose a common man for this and make him feel this way. Later sent him to the society so that others can also get this feeling.
I too am a simple householder, have family, this responsibility is given to me. So as not to think that only monks can do it. Another reason is that there were no women in the Himalayas. Those who went there came with the idea that women were obstacles to spiritual progress. So there was no entry for women.
But my Gurudev after higher studies realized that men and women are only physically different, there is no difference in mind. Women can make spiritual progress just like men. So I have been chosen as a medium to break this concept too. This is why women are given priority in every center and ashram of this organization.
My job is only to serve this feeling to you. It is actually not my own creation but a combination of feelings and knowledge of sages and sages. So if you like it, thank those Saints and Mahatmas, not me.
Another thing, it’s not book knowledge, it’s emotional knowledge. Books contain only facts and information, which are past events. Feelings are always in the present. So not book reading, it has to take sense knowledge. Then you have to understand your own way of worship and experience its spirit. Only then will you understand the meaning of that meditation.
For example, if a Muslim did not study, he would read the Puranas
For example, if a Muslim is not educated, he will not be able to understand the meaning of the Puranas, only respect them. Likewise, if one is not studying to be a Christian, then he is
Can’t understand the meaning of the Bible, can only respect it.
And if one has studied as a Hindu, then he will understand the meaning of Gita. But if he is not educated, he can only respect the Gita, not understand the meaning.
So it is very important to gain knowledge of this feeling if you want to understand your own worship style. Otherwise you may misunderstand the meaning of the things written in this book. Because the writer writes based on his feelings and state of mind. But the reader is at a lower level. Because of the gap between these two levels, there can be a difference between the author’s writing and the reader’s understanding.
So first accept the knowledge of this feeling. Then understand your own way of worship and experience its spirit. Only then will you understand the true meaning of that meditation.
Himalayan meditation techniques;Awakening kundalini energy;Universal spirituality teachings;Ancient Indian meditation practices;Spiritual enlightenment methods;Surrendered meditation reform;Unlock inner divinity;Panchabhuta worship;Women in Hindu spirituality;Experience emotional knowledge;Overcome spiritual obstacles;Discover true self through meditation;Attain higher consciousness;Merge with divine nature;Receive guru’s grace through meditation
Ancient Worship Practices;Panchabhuta Meditation;Universal Religion Insights;Kundalini Energy Activation;Aryan Civilization Secrets;Spiritual Enlightenment;Meditation Techniques;Ancient Wisdom Unveiled;Humanity’s Spiritual Evolution;Mysteries of Ancient Worship;Path to Enlightenment;Spiritual Awakening;Universal Spirituality;Ancient Civilization Rituals;Inner Peace Exploration;Connection to Nature;Human Enlightenment Journey;Understanding Humanity’s Past;Universal Worship Traditions;Inner Transformation Insights;Sacred Rituals Exposed;Divine Meditation Practices;Spiritual Evolution Insights;Ancient Spiritual Wisdom;Mystical Insights Revealed;Journey to Self-Discovery;Ancient Wisdom Rediscovered;Exploring Human Spirituality;Unveiling Spiritual Truths;Secrets of Inner Peace;Sacred Spiritual Practices;Evolution of Human Consciousness;Rediscovering Spiritual Heritage;Awakening the Soul;Unraveling Spiritual Mysteries
- Unlocking the Secrets of Ancient Worship Practices | Revealed!
- Dive into the Mysteries of Panchabhuta Worship | Fascinating Insights!
- Discover the Ancient Origins of Meditation Practices | Mind-Blowing Facts!
- Exploring the Universal Religion Concept | Eye-Opening Analysis!
- Awakening Humanity: A Journey through Ancient Worship Systems | Unveiled!
- 🌟 The Ultimate Guide to Panchabhuta Worship 🌟 | Start Your Spiritual Journey Now!
- 💡 Ancient Meditation Techniques Demystified 💡 | Insider Knowledge Revealed!
- 🌀 Unveiling the Secrets of Universal Religion 🌀 | Transform Your Perspective!
- 🌿 Harnessing the Power of Kundalini Energy 🌿 | Elevate Your Existence!
- 🌌 The Hidden Truths behind Aryan Civilization 🌌 | Journey to Enlightenment!
- Cracking the Code of Ancient Worship Systems | Your Key to Enlightenment!
- Journey to Spiritual Awakening | Rediscover the Power of Meditation!
- Unraveling the Mysteries of Humanity’s Past | Insightful Revelations Await!
- Embrace Your Spiritual Potential | Step into the World of Universal Religion!
- Enlightenment Awaits | Connect with the Essence of Ancient Practices